শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০১:০৩ অপরাহ্ন
আপন নিউজ রিপোর্টঃ কলাপাড়ার লালুয়া ইউনিয়নের বানাতিবাজারে পায়রা বন্দর নৌ-পুলিশ ফাড়ির আলোচিত সেই এএসআই মামুন-উর-রশীদের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলেরা প্রকাশ্যে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেছেন। প্রত্যেক জেলে ট্রলার থেকে মাসোহারা আদায় করত মামুন। যে দিতনা তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হতো। এমনকি লালুয়ায় মানুষের পারিবারিক বিরোধ কেন্দ্রীক ঘটনায় যখন তখন যে কাউকে ফাড়িতে নিয়ে মারধর করত। গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহের শুক্রবার সন্ধার পরে মাঝের হাওলা গ্রামের আমির হোসেনকে নৌ-পুলিশ ফাড়িতে নিয়ে পেটায়। স্বামী-স্ত্রীর সামান্য ঝগড়ার ঘটনায় আমিরকে মামুন ধরে নেয়। চান্দুপাড়া গ্রামের শ্রমজীবী জাকির হোসেনকে খালে জাল পাতার ঘটনায় মারধর করে এএসআই মামুন। লালুয়া ও রাবনাবাদ পাড়ের মুর্তিমান আতঙ্ক এই এএসআই মামুনের রয়েছে সেখানকার একটি দালাল চক্র। এএসআই মামুনের সোর্স ও দালাল চক্রদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, এএসআই মামুনের কর্মকাণ্ডে কেউ প্রতিবাদ করলে লালুয়ার একটি চক্র তার পক্ষে কাজ করে। এবং উল্টো তাদের হয়রানি করত।
সর্বশেষ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল অনুমান ১১টার দিকে উপজেলার বালিয়াতলী ইউনিয়নের ঢোস এলাকায় পুলিশের লাঠির আঘাতে চরবালিয়াতলী গ্রামের চৌকিদার বাড়ীর মৃত আবদুস সত্তার’র ছেলে জেলে সুজন হাওলাদার (৩০)’র মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে লালুয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এক এ এসআই সহ চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার গ্রামবাসী বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠে। অভিযুক্ত নৌ-পুলিশের বিচার দাবীতে উত্তেজিত জনতা চার পুলিশ সদস্যকে সোর্স সহ ট্রলারে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন, কলাপাড়া থানা পুলিশ, মহিপুর থানা পুলিশ ও জেলা দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ছয় ঘন্টা পর অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত নৌ-পুলিশের সেই আলোচিত এএসআই মামুন-উর-রশিদ, কনেষ্টবল সাজ্জাদ, সুমন ও রিয়াজকে ক্লোজ্ড করে নৌ-পুলিশ বরিশাল অঞ্চলে সংযুক্ত করা হয়েছে।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply